বিশেষ প্রতিনিধি :
যশোরের বেনাপোলের কিশোরী অপহরন ঘটনার মূল হোতা মুক্তা পারভীনের দ্রুত গ্রেফতার চান ভূক্তভোগী সুমাইয়ার মাতা নারগিস খাতুন(৩৫)। ঘটনার ৪৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলাটির তদন্ত কার্যক্রমে অগ্রগতি না মেলায় শঙ্কিত ভুক্তভোগীর পরিবার।
বেনাপোল পোর্টথানার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৭/(৩০) ধারায় দ্বায়ের কৃত মামলায় (মামলা নং-৩১) আসামী মোরশেদুল হক (৩৪) বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তার প্রধান সহযোগী মুক্তা পারভীন এখনো অধরা। এ সুযোগে বিভিন্ন লোক মারফত বাদীপক্ষ কে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য অনবরত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান ভিকটিম সুমাইয়ার মা।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সুমাইয়া নিঁখোজ সময় কালীন মেয়েকে উদ্ধার চেষ্ঠায় গত ১৮ই আগস্ট রাতে বেনাপোল পোর্টথানায় হাজির হয়ে মুক্তা পারভীন স্বামী মৃত-ঃ মিজান সাং-ঃ মালিপোতা কে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করলেও কোন কারনে মুক্তা পারভীন এজাহার ভ’ক্ত আসামী হয়নী তা আজও অজানা রয়েছে। ঘটনার শুরু হতেই মুক্তা পারভীন তার মেয়ের অপহরন কান্ডে জড়িত ও নিজেই উপস্থিত থেকে সুমাইয়া ও মোরশেদুলের নাটকীয় বিবাহ দেন তিনি। মুক্তার ফোন কলে সুমাইয়া আসামী মোরশেদুল হকের অফিসে দেখা করতে গিয়ে অপহৃত হন ও পরবর্তীতে মুক্তার শেল্টারেই ঢাকাতে অবস্থান করেন বলে আরো জানান।
পুলিশী অভিযানে উদ্ধার শেষে সুমাইয়াকে থানায় আনার পর বারংবার মুক্তাকে আটকের জন্য নারগিস খাতুন অনুরোধ জানাই পোর্টথানার কর্মকর্তাদের। এখনো পর্যন্ত মুক্তা পারভীন আটক না হওয়ায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত। অভিযোগ বিষয় জানতে মুক্তা পারভীনের মুঠোফোনে কল দিয়ে সংযোগ না মেলায় বিবৃতী নেওয়া সম্ভব হয়নী। বিবাহ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে বারান্দী পাড়া, খালধার রোড যশোরের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার কাজী হোসেন জানান, গত ১০-৮-২০২০ ইং তারিখে সুমাইয়ার বিবাহ স্থলে মুক্তা পারভীনের উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে বেনাপোল পোর্টথানার তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি তার রেজিস্টার খাতার অনুলিপি সরবারহ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্টথানার সাব-ইন্সেপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম প্রায়ই শেষ পর্যায়ে আদালতের পরামর্শ মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। অসহায় পরিবারটি কন্যার অপহরন ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পেতে প্রশাসন সহ সমাজের সকল ক্ষমতাবান মানুষের সহায়তা চেয়েছেন।
Leave a Reply