গাজীপুর থেকে ঃ
শেরপুর জেলা নালিতা বাড়ি থানার মধ্যমকুড়া গ্রামের মৃত: নবাব আলীর ছেলে মোঃ রুহুল আমিন এর সাথে শেরপুর জেলা নালিতা বাড়ি থানার পলাশিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর গফুরে মেয়ে মোসা: জহুরা খাতুনের সাথে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ৩০ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ হয়।
বিবাহের পর তাদের সংসার ভালই যাচ্ছিল, তাদের ঘরে কোনো সন্তান নাই। তারা গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা বোর্ডবাজার এলাকায় থেকে চাকুরি ও ব্যাবসা করতেন। বছর দুয়েক আগে হইতে বিবাদী প্রায় সময় অন্যত্র ফোনে কথাবার্তা বলিয়া স্বামীর সহিত কোন কারন ছাড়াই জগড়া বিবাদ সৃষ্টি করিত। গত ১বছর আগে আমার শালা মোঃ রোস্তম আলী আমার কাছথেকে চোঁখের চিকিৎসার জন্য ২০হাজার টাকা হাওলাদ নেয়।
আমার শালী মোসা: জোছনা খাতুন ও তার স্বামী মোস্তফা উরুফে আদম চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে হাওলাদ নেয়। টাকা চাইলে তারা দেই দিচ্ছি বলে অনেক তারিখ দিয়েছে তার পরও আমার হাওলাদ টাকা এখনও পর্যন্ত ফেরৎ দেয় নাই। এ নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আমার স্ত্রী আমাকে বলে, ভাই জায়গা বিক্রি করবে বলেছে, জমি বিক্রি করলে আমি টাকা এনে দিব বলে,ভাইয়ের বাড়িতে চলে যায়।
চলে যাওয়ার পর আমার স্ত্রীকে আসার জন্য ফোন দিলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমার শালা ও শালিকে ফোন দিলে তারা ও আমাকে গালিগালাজ করে খুন জখম করিয়া ফেলিবে বলিয়া প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। যাওয়ার আগে আমার স্ত্রী তার ভোটার আইডি কার্ড সাথে নিয়ে যায় এবং আমার বাসা থেকে ব্যবসা করার জন্য দুটি এনজিও থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা উঠায় সেই টাকাও সে নিয়ে যায়। তার সাথে থাকা আমার দেওয়া ১ভরি স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৭০হাজার টাকা। লোক মারফত জানতে পারি আমাকে মৃত বলে ভাই ও বোন মিলে অন্য জায়গায় তাকে বিয়ে দিয়েছে।
যাতে আমার পাওনা টাকা (স্বর্ণেও চেইন) না দিতে হয়। এ ব্যাপারে তার সাথে মোবাইলে (০১৯৯০২১৩৪৭৩) যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে গিয়ে না পেয়ে। গত ১০/০১/২০২০ইং তারিখে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় একটি অভিযোগ করি। প্রশাসনের কাছে দাবি হাওলাত টাকার চাওয়ার জন্য আমার এতদিনের সংসার ভেঙ্গে শেষ হয়ে গেল। এব্যাপারে আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।
Leave a Reply