গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি ঃ
যত্রতত্র অযাথা জনসমাগম রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবহিনীসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ।করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে। আগত ২৩১ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জে ৪২, গোব্দিগঞ্জে ৫৭, সদরে ৪৮, ফুলছড়িতে ১৪, সাঘাটায় ১৯, পলাশবাড়িতে ১৭, সাদুল্যাপুর উপজেলায় ২৫ জন। এছাড়া বগুড়ার ৯ জন সাদুল্যাপুর উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে আসায় তাদেরকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বগুড়ার হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন আক্রান্ত। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কোন চিহ্ন না পাওয়ায় ৮ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ২৩১ জন।
সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ ফেরত ২৩১ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা যাতে নিয়মের বাইরে না চলে সেজন্য তাদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, শুক্রবারের মধ্যে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে গাইবান্ধা জেলা উপজেলা সদর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলো জনশূন্য ॥ যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানপাট ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচলেস বন্ধ থাকার নির্দেশনা কার্যকরী হওয়ায় গাইবান্ধা জেলা উপজেলা সদর, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বন্দরগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে দোকান খোলা রাখলে বা মুখে মাস্ক না লাগিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর এ্যাকশন শুরু হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হওয়ায় কেউ আর ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলো একেবারেই ছিল জনশূন্য। মাঝে মাঝে দু’একটি অটোরিক্সা, অটোবাইক ও বাইসাইকেল নজরে পড়লেও সবাই মাস্ক লাগিয়ে চলাচল করছে। শহরে অটোরিক্সা ও অটোবাইকের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় বাহির থেকে আসা লোকজন পরিবার-পরিজনকে হেঁটেই চলাচল করতে হচ্ছে।
এছাড়া ঔষুধসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে গিয়েও যানবাহন সংকটে লোকজনরা দুর্ভোগে পড়েছে। খাবার ও চায়ের দোকান, ঔষুধের দোকান, বাজারে চাল-ডাল, মাছসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানপাট খোলা রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকলেও ভয়ে খাবার হোটেল, রুটির দোকান ও চায়ের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে যারা হোটেল-রেষ্টুরেন্টের নাস্তা এবং খাবারের উপর নির্ভরশীল তারা বিপাকে পড়েছে।
Leave a Reply