করুণা সারাবিশ্বে এক আতঙ্কের নাম। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই মরণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরণ লড়াই করে যাচ্ছেন। যেন কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না তারা। ৮ মার্চ ২০২০ বাংলাদেশের প্রথম এ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলে। তারই ধারাবাহিকতা হিসেবে বাংলাদেশও করুণার বিস্তার দেখা যাচ্ছে দিন দিন। যখন মানুষের কোন বিপদ হয় বা যে কোন দুর্যোগ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থাকেনগাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি ছুটে যান তাদের পাশে এবং সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেন। বিপদে তাদের খোঁজ নেন। এরই অংশ হিসেবে নিজ উদ্যোগে ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ডাক্তারদের জন্য ৭ হাজর পোশাকের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। মেয়রের বাসভবনে উপস্থিত থেকে তিনি এসব বিতরণ করেন। এসময় গাজীপুরের সংশ্লিষ্ট সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, গাজীপুরের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের ড্রেস দেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল। ইতিমধ্যেই ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে পিপিই না থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে তাদের জন্য এই সুরক্ষিত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চায়না থেকে ২০ হাজার কিট,৭ হাজার ড্রেস ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে। এবং সেগুলো তাদের মাঝে আজ বন্টন করে দেয়া হয়েছে।
ডাক্তার-নার্সদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এ ব্যবস্থা করেছি। মেয়র বলেন, তারা যদি নিজেরা নিরাপদ না থাকে, তাহলে রোগীর নিরাপত্তা দিবে কিভাবে? তাই ডাক্তারদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পোশাক দিচ্ছি যা পিপিই নামে পরিচিত। যাতে করে তারা নিজেদেরকে সুরক্ষিত রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে পারেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তার বললেই রোগী নিয়ে যাবে হাসপাতালে।ইতিমধ্যেই তিনি নাগরিকদের হাত ধোয়ার জন্য ৫ হাজার পানির ট্যাংক ও মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মেয়র বলেন, ২০ হাজার কিট দেওয়া হয়েছে। আরো ১০ হাজার আসার অপেক্ষায় আছে।
মহানগরের ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য দেয়া হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের কর্মীরা অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মেয়র বলেন, কোন মানুষকে আসতে হবে না তাদের ঠিকানা অনুযায়ী খাদ্য পৌঁছে দিবে আমাদের কর্মীরা। মেয়র বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। মানুষকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। শুধুমাত্র আইন করে মানুষকে ঘরে বন্দি করে রাখা যাবে না।নিজ উদ্যোগে প্রতিটি মানুষ ঘরে থাকবে চিকিৎসকদের পরামর্শ।
তাহলে আমরা করোনা ভাইরাস এর মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে ইনশাল্লাহ। এসময় তিনি সাংবাদিকসহ সকল সচেতন নাগরিকদের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সশস্ত্র বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
Leave a Reply